, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


আটকের ১৯২ দিন পর মুক্তি পেল ১১ গরু

  • আপলোড সময় : ০৩-০১-২০২৪ ১১:০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০১-২০২৪ ১১:০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
আটকের ১৯২ দিন পর মুক্তি পেল ১১ গরু ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে ভারতীয় ১১ গরুর মুক্তি মিলেছে। ১৯২ দিন (৬ মাস) নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছিল তাদের। মঙ্গলবার ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রটে আদালত চত্বরে সেগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়।  এসব গরুর খাবার বাবদ এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সর্বোচ্চ ডাকে গরুগুলো কিনে নেন শৈলকুপা উপজেলার কাচের কোল গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন ও মির্জাপুরের শওকত হোসেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. আবু সায়েম জানান, ২০২৩ সালের ২১ জুন গভীর রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটীমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করার সময় ভারতীয় ওই গরু আটক করে ঝিনাইদহ জেলা ডিবি পুলিশ। সেই সময় চোরাকারবারি মহেশপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের মো. ফারুক হোসেন, মো. সাদিসহ তিনজনকে আটক করা হয়। 

তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে সংশিষ্ট মহেশপুর থানায় ডিবির এসআই পারভেজ কবির বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে তিন চোরাকারবারিকে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু গরু নিয়ে বিপাকে পড়ে  পুলিশ। আদালতের কাছে নিলামের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী। 

মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করেন দুই ব্যক্তি। মামলা মাসের পর মাস চলতে থাকে। পরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজ কুমারকে গরুগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সদর থানা চত্বরেই একটি অস্থায়ী শেড নির্মাণ করেন তিনি। দুজন রাখাল রেখে পালা শুরু হয়। ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল আদালতে মালিক দাবি করে দায়ের করা মামলায় হেরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করা ব্যক্তিরা। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়ে জজ আদালতেও হেরে যান তারা। চলে যান উচ্চ আদালতে। হঠাৎ মামলা তুলে নেন ওই দুই ব্যক্তি। 

মামলার তদন্তকারী এসআই মো. আবু সায়েম জানান, খাবার বাবদ এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণিসম্পদ বিভাগ ১২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা খরচ করেছে। বাকি ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার।

এ বিষয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, আদালত চত্বরে প্রকাশ্য নিলামে ১১ গরু বিক্রি করা হয়। প্রকৃত মূল্য ১৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। সরকারি মূল্য ধরা হয়েছিল প্রতিটি এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। ভ্যাট ও আইটিসহ ২১ লাখ ৪৩ হাজার ১২৫ টাকা। গরু পালন করতে যে টাকা খরচ হয়েছে, তা যাচাই-বাছাই করা হবে। এর পর খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
সর্বশেষ সংবাদ